Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এবিএম রাশেদুল কবির-চেয়ারম্যান ০১৭১৩৭৯২৯৪৫,   মোঃ সাখাওয়াত হোসেন- উদ্যোক্তা 01744975531


ইউনিয়নের বিশিষ্ট ব্যক্তি বর্গ

*** মরহুম অধ্যাপক ইউসুফ আলি তিনি অত্র ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ(চাকপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা। তিনি অত্র ইউনিয়নের শিক্ষা বিস্তারে অগ্রনি ভুমিকা রেখেছেন । তিনি বাংলাদেশ স্বাধিনতা ইস্তেহার পাঠকারি ছিলেন। তিনি অত্র ইউনিয়নের অনেক মানুষকে কর্মজিবির রাস্তা দেখিয়েছেন। তিনি প্রথম শিক্ষা মন্ত্রি ছিলেন। পরে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রি ছিলেন। তিনি এই এলাকার জন্য একজন আদর্শ মানুষ পদপ্রর্দশক।

 

*** মরহুম মোকাররম হোসেন তিনি অত্র ইউনিয়ন ফরক্কাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি অত্র ইউনিয়নের একজন ভালো মানুয়ের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি মানুষের জন্য আদর্শ পদপ্রদর্শক। তিনির জন্য অত্র ইউনিয়নের মানুষ এখনো স্বরণি হিসাবে নিদের মনে স্বরন রখেছে। 

 

বিস্মৃত নেতা ইউসুফ আলী..

দিনাজপুরের কৃতি সন্তানেরা

তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক, তিনি বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী, বিসিবি- বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ছিলেন রেকর্ড সংখ্যক মন্ত্রিসভার সদস্য। সব ছাপিয়ে তাঁর বড়ো পরিচয়, তিনি এই দিনাজপুরের সন্তান।

তিনি জাতির শ্রদ্ধাস্পদ রাজনীতিবিদ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী৷ জন্ম তাঁর দিনাজপুর জেলার বিরলের ফরক্কাবাদে, ১৯২৩ এ। ১৯৪৪ সালে দিনাজপুর একাডেমি হাইস্কুল থেকে প্রবেশিকা পাশ করেন। এরপর রিপন কলেজের অধীনে আইএ এবং পরে তদানীন্তন সুরেন্দ্রনাথ কলেজে বিএ সম্পন্ন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৫৩ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এলও করেছিলেন। রাজশাহীতে কিছুদিন এবং পরবর্তীতে দিনাজপুরের সুরেন্দ্রনাথ কলেজেই বাংলার অধ্যাপনায় নিযুক্ত হন ইউসুফ আলী। ১৯৬০ সালে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিয়ে ক্রমেই দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতায় পরিণত হন৷ ১৯৬২, ১৯৬৫ সালে আইনসভার সদস্য এবং ১৯৭১ সালে চীফ হুইপও নির্বাচিত হয়েছিলেন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী। তিনি ১৭ এপ্রিলে মুজিবনগর সরকারের শপথবাক্য পাঠ করিয়েছিলেন। পুরোটা সময় তিনি ছিলেন ইয়ুথ কন্ট্রোল বোর্ডের নেতৃত্বে ছিলেন, যার দায়িত্ব ছিলো মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ও রিক্রুমেন্ট করা৷ কলকাতায় সরকারের অস্থায়ী অফিস প্রতিষ্ঠায়ও তিনিই প্রধান মুখ।

স্বাধীন দেশে শেখ মুজিব সরকারের প্রথম শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রী নিযুক্ত হন। পরবর্তী প্রায় প্রতিটি সরকারের সাথে তিনি কাজ করেছেন৷ মোশতাক সরকারের মন্ত্রিসভায় অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী, জিয়াউর রহমানের আমলে বস্ত্রমন্ত্রী, সাত্তার আমলের পাটমন্ত্রী এবং সবশেষে এরশাদ সরকারের শিল্পমন্ত্রী হয়ে ১৯৮৬ -তে রাজনৈতিক অবসর গ্রহণ করেন। রেকর্ড দশ দশটি মন্ত্রনালয়ে দায়িত্ব পালনের এই নজির বোধয় অন্য কোনো রাজনীতিবিদেরই নেই।

অনেকেই জানেন না, অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ আলীই ছিলেন আজকের বিসিবির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি (১৯৭২-৭৬), যেখানে এখন নাজমুল হাসান পাপন রয়েছেন।

দিনাজপুরের উন্নয়নে তাঁর অবদান অনেকখানি। তাঁরই ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এরশাদ সরকারের আমলে বিখ্যাত কাঞ্চন সেতুটি নির্মিত হয়।

১৯৯৮ সালের ডিসেম্বরে তিনি পরলোকগমন করেন। তাঁর কবর জন্মস্থান ফরক্কাবাদেই বোঁচাগঞ্জ-কাহারোল সড়কের পাশে অবস্থিত ৷

দুর্ভাগ্য যে, এহেন মানুষকে আমরা ভুলতে বসেছি। তাঁর স্মৃতিরক্ষায় বিশেষ কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি আজও। তাঁর নামে নেই কোনো স্কুল-কলেজ, মেডিকেল কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম৷ তরুণ প্রজন্মের কাছে দিনাজপুরের ইতিহাস জানান দিতেই আজ এটি সময়ের দাবি।